বাংলাদেশে৬ জনের দেহে করোনার ভারতীয় ধরন বেঙ্গল ভেরিয়েন্ট শনাক্ত
বাংলাদেশে ৬ জনের দেহে করোনার ভারতীয় ধরন বেঙ্গল ভেরিয়েন্ট ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর মধ্যে ২ জনের দেহে ডাবল মিউটেশন পাওয়া গেছে। শনিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং আইইডিসিআর আলাদাভাবে পরীক্ষা করেছে। দুই প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষাতেই ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ধরা পড়েছে।
এর আগে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এএসএম আলমগীর বলেছেন, রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের একটি নমুনা পরীক্ষায় ভারতীয় স্টেইন ধরা পড়েছে, যা জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডাটাতে (জিএসআইডি) প্রকাশিত হয়েছে।
জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জার (জিসএইড) তথ্য বলছে,ভারতীয় ধরন বি-১৬১৭ যাদের শরীরে পাওয়া গেছে সেই দুইজনের বয়স ৪১ ও ২৩ বছর। তারা ভারতে ভ্রমণে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের একজন খুলনার ও একজন ঢাকার। দুইজনই পুরুষ।তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয় গত ২৮ও২৯ এপ্রিল। তথ্যগুলো সরকারের রোগতত্ত্ব,রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পক্ষ থেকে ডাটাবেজে আপলোড করা হয়েছে।
এদিকে ভারতে করোনার সংক্রমণ মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে করোনার ‘ডাবল’ বা ‘ট্রিপল মিউটেশন’ ভেরিয়েন্টকে দায়ী করা হচ্ছে।বিশ্বের অন্তত ২০টি দেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বা ধরন পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত ৬ ফেব্রুয়ারি করোনাভাইরাসের দক্ষিণ আফ্রিকান ধরণের অস্তিত্ব মেলে বাংলাদেশে। ঢাকার বনানীর ৫৮ বছর বয়সী এক নারীর শরীর থেকে সংগ্রহ করা নমুনায় এই স্ট্রেইন পাওয়া যায় বলে নিশ্চিত করে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) জিনোমিক রিসার্চ ল্যাবরেটরির গবেষক দল।